গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক মাহবুব হোসেন কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে এমএসআর সামগ্রী ক্রয়ে উচ্চ দরদাতাকে কার্যাদেশ দেওয়ার ঘটনায় গতকাল শনিবার আনন্দ টিভিতে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচারের পর সাংবাদিক মিলন খন্দকারকে জীবন নাশের হুমকি দিয়েছেন ঠিকাদার সাহাদৎ হোসেন খন্দকার। এই ঘটনায় সদর থানায় একটি জিডি করেছেন ওই সাংবাদিক।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে এমএসআর ( ওষুধ সহ চিকিৎসা সামগ্রী) নিম্ন দরদাতা সাইফুল ইসলামকে আইনবর্হিভুত শর্তে বাতিল করে উচ্চ দরদাতা বগুড়ার ফজলী ড্রাগ হাউজ ও স্থানীয় স্বর্না এন্টার প্রাইজ সহ চারটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে কার্যাদেশ দেন তত্বাবধায়ক ডাঃ মাহবুব হোসেন। এছাড়া গত ২০২১-২২,২০২২-২৩ ও ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে আওয়ামীলীগ সরকারের স্থানীয় সাবেক এমপি মাহাবুব আরা বেগম গিনি ও শাহ সারোয়ার কবীরকে ম্যানেজ করে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৈরী করে ঠিকাদার সাহাদৎ হোসেন গত তিন বছরে হাতিয়ে নিয়েছে ১২ কোটি টাকা। সাংবাদিক মিলন খন্দকার বলেন, গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের এমএসআর সামগ্রী ক্রয়ে উচ্চ দরদাতা সাহাদৎ হোসেন গত বছরের ২রা জুলাই ইসলামী ব্যাংক গাইবান্ধা শাখার হিসাব নম্বর ২০৫০১৮৫০১০০০৬৬৬০০ থেকে স্বর্না এন্টার প্রাইজের একটি চেকের মাধ্যমে ৪০ লাখ টাকা পাঠান সোনালী ব্যাংক পিএলসি র সিরাজগঞ্জ জেলার সোহাগপুর ব্রাঞ্চে। সেখানে তত্বাবধায়ক মাহবুব হোসেনের নিজ নামে ওই টাকা জমা হয় মর্মে প্রচারিত প্রতিবেদনে চেকটির ফটোকপি তুলে ধরা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঠিকাদার সাহাদৎ হোসেন শনিবার রাত ১০ টা ২০ মিনিটে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর ০১৭২৭-৫৪৯৯৬৬ দ্বারা আমার ব্যবহৃত ০১৭৩৯২৪০৪১৫ নম্বরে কল করে জীবন নাশ সহ নানা ধরনের ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। এঘটনায় রোববার (৯ মার্চ) সদর থানায় জিডি করা হয়েছে। নম্বর ৪৬৪। গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম তালুকদার জিডি গ্রহনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, সাংবাদিক মিলন খন্দকারকে জীবন নাশের হুমকি দেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন গাইবান্ধায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা।